My CMS

Just another WordPress site
Menu
  • Restaurant
  • Uncategorized

Home
টপ
Jetuku Tuntuni setuku Chotacchu pdf download | যেটুকু টুনটুনি সেটুকু ছোটাচ্চু pdf download
টপ

Jetuku Tuntuni setuku Chotacchu pdf download | যেটুকু টুনটুনি সেটুকু ছোটাচ্চু pdf download

admin_u40ltm0y April 17, 2021
Jetuku Tuntuni setuku Chotacchu pdf download | যেটুকু টুনটুনি সেটুকু ছোটাচ্চু pdf download

Jetuku Tuntuni setuku Chotacchu pdf download – যেটুকু টুনটুনি সেটুকু ছোটাচ্চু বইটি মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা জনপ্রিয় শিশু-কিশোর সিরিজ টুনটুনি ও ছোটাচ্চু সিরিজের ৫ম বই। এই সিরিজের গল্প গুলো প্রথমে কিশোর আলো নামক মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত হলে এটি তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরে এই গল্প গুলো সিরিজ আকারে বই হিসেবে প্রকাশিত হয়।

মুহাম্মদ জাফর ইকবাল সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি অনেক কিশোর উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি শিশু কিশোরদের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। এবারের বইমেলা ২০২১ এ যেটুকু টুনটুনি সেটুকু ছোটাচ্চু বইটি প্রকাশ করেছে সময় প্রকাশনী।

দেখে নিনঃ

  • জাফর ইকবালের নতুন বই ২০২৩ পিডিএফ
  • জাফর ইকবালের সবগুলো সাইন্স ফিকশন একসাথে
  • আমার ডেঞ্জারাস মামী pdf download

বইয়ের নামঃ যেটুকু টুনটুনি সেটুকু ছোটাচ্চু

লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল

যেটুকু টুনটুনি সেটুকু ছোটাচ্চু বইটি টুনটুনি ও ছোটাচ্চু সিরিজের একটি বই। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল মাসিক পত্রিকা কিশোর আলোতে টুনটুনি ও ছোটাচ্চু শিরোনামে ডিটেকটিভ গল্প লেখা শুরু করলে সেটা কিশোরদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। পাঠকদের অনুরোধে লেখক নিয়মিত টুনটুনি ও ছোটাচ্চু সিরিজ লিখতে থাকেন। পরবর্তিতে সেই গল্প গুলোকে বই আকারে রূপ দেওয়া হয়।

Jetuku Tuntuni setuku Chotacchu বইয়ের কিছু অংশ

আজিব রাজীব

ছােটাছুর ঘরে মিটিং, সব বাচ্চারাই এসেছে । ছােটাছু একটা চেয়ারে বসেছে, বাচ্চাদের কেউ বিছানায় কেউ মেঝেতে। এক দুইজন দেয়ালে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে। ছােটাছু তার গালের বিন্দি বিন্দি দাড়ি দুই একবার ঘষে বলল, “তােদেরকে আমি কেন ডেকেছি আমি নিজেই জানি না, কারণ আমি যেটা তােদেরকে বলব সেটা মােটেও বাচ্চাদের সাথে আলােচনা করার বিষয় না।”

একজন রিনরিনে গলায় বলল, “বুঝেছি! বুঝেছি তুমি কী নিয়ে কথা বলবে!”

ছােটাচ্চু একটু অবাক হয়ে বলল, “কী নিয়ে?”

“ইয়ে এবং বিবাহ!”

সবাই মাথা নেড়ে আনন্দে চিৎকার করল, বলল, “ইয়েস! ইয়েস! ইয়ে এবং বিবাহ!”

ছােটাছু কেমন যেন একটুখানি অপ্রস্তুত হয়ে গেল । তারপর গাল ঘষে বলল, “তােদের সব কিছু নিয়ে ইয়ারকি!

একজন বলল, “এটা মােটেও ইয়ারকি না।”

ছােটাছু বলল, “যেটা বুঝিস না সেটা নিয়ে কথা বলিস না!”

আরেকজন বলল, “কে বলেছে আমরা বুঝি না? মনে নাই তােমাদের দুইজনের যখন প্যাঁচ লেগে গিয়েছিল তখন আমরা-

ছােটাচ্চু একটা ধমক দিল, বলল, “চুপ কর!”

বাচ্চারা চুপ করল কিন্তু মুখ টিপে খিকখিক করে হাসতে লাগল ।

ছােটাছু বলল, “আমি তােদেরকে ডেকেছি আমি এখন কী করব সেটা বলতে।

বাচ্চারা চিৎকার করল, “বল! বল ছােটাচ্চু, বল!”

ছােটাছু বলল, “তােরা সবাই জানিস আমি এই দেশের প্রথম একটা প্রাইভেট ডিটেকটিভ এজেন্সি খুলেছিলাম। একদিন যখন এই দেশে ডিকেটটিভ এজেন্সির ইতিহাস লেখা হবে আমার নাম সেখানে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

টুম্পা বলল, “এবং টুনি আপুর ।”

শান্ত বলল, “আমার নামটাও লিখতে হবে। আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে গাবড়া বাবারে ধরেছিলাম মনে আছে? যা একটা ল্যাং মেরেছিলাম-“

প্রমি বলল, “মারামারি করার জন্য কারাে নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকে।”

টুম্পা বলল, “শান্ত ভাইয়া, তােমার নামটা লেখা হবে পিতলের অক্ষরে।”

মুনিয়া বলল, “না হলে প্রাস্টিকের অক্ষরে।” তখন সবাই হি হি করে হাসতে শুরু করল।

টুনি বলল, “তােমরা সবাই একটু চুপ করবে? ছােটাছু কী বলতে চায় একটু শুনি।”

প্ৰমি বলল, “হ্যা, সেটা শুনি। সবাই চুপ।”

সবাই শেষ পর্যন্ত চুপ করল তখন ছােটাছু তার গলা পরিষ্কার করে আবার শুরু করল। বলল, “তােরা জানিস আমি রেকর্ড সময়ের ভিতরে দা আল্টিমেট ডিটেকটিভ এজেন্সি দাড় করিয়েছিলাম । ক্রাইম সলভ করার জন্য একটা টিম তৈরি করেছিলাম। সেই টিমটি ছিল আধুনিক, প্রশিক্ষিত, দক্ষ, সাহসী এবং আঁ আঁ—” 

ছােটাছু বলার মতো আরেকটা শব্দের জন্য মাথা চুলকাতে লাগল ।

শাস্ত তখন সাহায্য করার চেষ্টা করল, বলল, “রাজপথের লড়াকু সৈনিক।”

ছােটাছু অবাক হয়ে বলল, “রাজপথের লড়াকু সৈনিক?”

“এখানে রাজপথের লড়াকু সৈনিকের কী আছে?”

“জানি না। কিন্তু দেখেছি সবসময় বলে।”

ছােটাছু মুখ শক্ত করে বলল, “পলিটিক্স করার সময় এগুলাে বলে গাধা কোথাকার । আমি কি পলিটিক্স করতে গেছি?”

একজন বলল, “উল্টোটা হয়েছে। সরফরাজ কাফি পলিটিক্স করে ছােটাছুকে বের করে দিয়েছে । তাই না ছােটাছু?”

ছােটাচ্ছ কোনাে উত্তর না দিয়ে তার দিকে চোখ পাকিয়ে তাকাল ।

টুনি বলল, “তােমরা ছােটাছুকে কথাই বলতে দিচ্ছ না। তােমরা কি কয়েক মিনিটের জন্য কথা বন্ধ করবে?”

সবাই আবার কথা বন্ধ করল, তখন ছােটাছু বলল, “আমি জাতির সামনে প্রমাণ করেছি যে আমি জিরাে থেকে শুরু করে একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারি। আমি শুধু তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন রহস্যভেদী ডিটেকটিভ নই—আমি একই সাথে একজন অসাধারণ সংগঠক!”

কেউ একজন হাসি চাপতে গিয়ে নাক দিয়ে শব্দ করে ফেলল এবং সেটা শুনে আরাে কয়েকজন খুকখুক করে হেসে ফেলল। ছােটাচ্চু সেটা না শােনার ভান করে বলল, “আমি দেখিয়ে দিয়েছি যে আমি চাইলেই পারি । আমি অসাধ্য সাধন করতে পারি। আমি কর্মঠ, উৎসাহী, উদ্ভাবক—”

শান্ত ছােটাচ্চুর কথার মাঝখানে বাধা দিয়ে বলল, “ছােটাছু নিজের প্রশংসা নিজের করা ঠিক না।”

ছােটাচ্চু থতমত খেয়ে বলল, কী বললি?”

“বলেছি যে নিজের প্রশংসা নিজে করা ঠিক না। আমি যখন করি তখন সবাই মিলে আমাকে গালাগাল করে”

প্রমি বলল, “মােটেই না শান্ত। তােকে কেউ গালাগাল করে না । তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। হাসাহাসি আর গালাগালি করা এক জিনিস না।”

শান্ত গম্ভীর গলায় বলল, “হাসাহাসি করা গালাগালি করা থেকে অনেক বেশি খারাপ।”

“মােটেও না। হাসাহাসি হচ্ছে আনন্দ করা, গালাগালি হচ্ছে ঝগড়া করা-“

টুনি একটু অধৈর্য হয়ে বলল, “তােমাদের জন্য আমরা ছােটাছুর আসল কথাটাই শুনতে পাচ্ছি না। ছােটাছু আমাদেরকে ডেকেছে একটা কথা বলার জন্য, সেটা আগে শুনি।”

তখন আবার সবাই চুপ করল । ছােটাছু কটমট করে সবার দিকে তাকাল তারপর বলল, “কথা বলার সময় তার মাঝে একটা ফ্লো থাকে । সেই ফ্লো থাকলে কথা বলা যায় । তােরা বার বার সেই ফ্লো নষ্ট করে দিচ্ছিস।”

কাচু কবিরাজ

দাদির (কিংবা নানির) ঘরে ঢুকেই টুনি ঝট করে ঘুরে বের হয়ে আসতে চাইছিল কিন্তু পারল না । দাদি বললেন, “এই টুনি! শুনে যা।”

টুনিকে বাধ্য হয়ে ঢুকতে হলাে। টুনি যে কারণে বের হতে চাইছিল সেই মানুষটি একটি চেয়ারে একটা পা তুলে বসে আছে । থুতনিতে ছাগল দাড়ি, গলায় মাফলার প্যাচানাে। মুখে পান, সেটা বিপজ্জনকভাবে চিবিয়ে যাচ্ছে, পাশে একটা সুটকেস । টুনি শেষবার কবে এরকম স্যুটকেস দেখেছে মনে করতে পারে না। স্যুটকেসের পাশে দুইটা মুরগি, পা বাঁধা মুরগি দুটো উল্টো হয়ে ঝুলে আছে। এর মধ্যে যদি দাদির ঘরে বাথরুম করে না থাকে যে কোনাে সময় করে ফেলবে।

গ্রাম থেকে দাদির কাছে প্রায়ই এরকম মানুষ আসে। কেউ চিকিৎসার জন্য আসে, কেউ মামলার জন্য, কেউ মােবাইল ফোন কেনার জন্য। একবার একজন এসেছিল চিড়িয়াখানা দেখার জন্য। দাদির (কিংবা নানির) অসীম ধৈৰ্য, যে যেটা করতে চায় কীভাবে কীভাবে জানি সেটা করিয়ে ফেলেন। এই মানুষটার স্যুটকেস দেখে বােঝা যাচ্ছে কিছুদিন থাকার জন্য এসেছে। মুরগি দুটো দেখে বােঝা যাচ্ছে খালি হাতে আসা ভালাে দেখায় না বলে মানুষটি এই মুরগিগুলাে এনেছে। দাদি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন, তার আগেই মানুষটা বলল, “এইডা কেডা? শাহানা? ইয়া মাবুদ, বড় হয় নাই দেখি। চিমসে লাইগা আছে? মাছ গােশত খায় না?”

টুনি আপত্তি করে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলল। এই মানুষটাকে কিছু বলার মনে হয় কোনাে মানে হয় না ।

দাদি বললেন, “না, না। এইটা শাহানা না। শাহানা তাে আমার সবচেয়ে বড় নাতনি। এ অনেক ছােট ।”

মানুষটা মুখটা একটু উপরে তুলে বলল, “নাম কী? বয়স কত?”

মুখটা উপরে তুলে রাখার জন্য পানের পিকটা মুখ থেকে বের হয়ে তার থুতনি, দাড়ি কিংবা গলার মাফলারে মাখামাখি হয়ে গেল না। মুখের ভেতরে সেটা ছলাৎ ছলাৎ করতে লাগল।

টুনি উত্তর দেওয়ার আগেই দাদি বললেন, “আমরা টুনি বলে ডাকি। মনে হয় তেরাে বছর বয়স হলাে। তাই না রে টুনি?”

টুনি মাথা নাড়ল। মানুষটা পানের পিকটা রক্ষা করে মুখের পানটা কয়েকবার চিবিয়ে নিয়ে বলল, “ইয়া মাবুদ! তেরাে বছর তাে বালেগা। বিয়ার বয়স। আমার মেয়ের বিয়া দিছি।”

বালেগা শব্দের অর্থ টুনি জানে না, কিন্তু মনে হলাে শব্দটা বড় হওয়া বােঝায়। শব্দটার ব্যবহারটা টুনির মােটেও পছন্দ হলাে না । টুনি এই প্রথম কথা বলল, “আঠারাে বছরের আগে বিয়ে দেওয়া বেআইনি । আপনাকে পুলিশের ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। নেয় নাই?”

মানুষটা থতমত খেয়ে গেল । মনে হয় টুনির কথায় অবাক হয়ে একটা বিষম খেল এবং টুনি যে আশংকা করেছিল সেটাই ঘটে গেল, পানের পিক মুখ থেকে বের হয়ে দাড়ি বেয়ে গলায় মাফলার পর্যন্ত চলে এলাে। দেখে টুনির মনে হলাে সে বমি করে দিবে । মানুষটা অবশ্য মােটেও বিচলিত হলাে না। টুনি এবারে গলার মাফলারের গুরুত্বটা বুঝতে পারল। মানুষটা মাফলারের মাথাটা দিয়ে পানের পিকটা মুখে ফেলার চেষ্টা করতে থাকল । টুনির মনে হলাে মাফলারটা অন্য রংয়ের ছিল এই খয়েরি রংটা নিশ্চয়ই পানের পিকের কারণে হয়েছে । টুনি এবারে দাদির দিকে তাকিয়ে বলল, “দাদি, আমাকে কেন ডেকেছ?”

“যা দেখি, ঝুমুকে ডেকে আন।”

মানুষটা শেষ পর্যন্ত তার পানের পিকটা সামলে নিয়েছে, টুনির দিকে চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল কিন্তু টুনি তাকে কোনাে সুযোগ দিল না, শুট করে বের হয়ে গেল। বের হওয়ার সময় শুনতে পেল আজকালকার ছেলেমেয়েদের আদর-লেহাজের কত সমস্যা সেইটা নিয়ে।

সুষমা মেঘবতী

টুনিদের স্কুলে সাধারণত বছরের মাঝখানে কেউ ভর্তি হয় না। কিন্তু দেখা গেল টুনিদের ক্লাশেই হাফ ইয়ারলি পরীক্ষার আগে নতুন একটা মেয়ে ভর্তি হয়েছে। নতুন কেউ ভর্তি হলে তাকে বাজিয়ে নিতে হয়। যারা মােটামুটি ভালাে ছাত্র কিংবা ছাত্রী তারা বাজিয়ে নেয় দেখার জন্য এই নতুন মানুষটি লেখাপড়ায় কীরকম-তার কারণে তাদের রােল নম্বর এক দুই ঘর পিছিয়ে যাবে কিনা। যারা দুই তারা বাজিয়ে নিতে চায় দেখার জন্য নতুন মানুষটি কী রকম দুষ্টু, তাদের দল কী ভারী করা যাবে কিনা সেইটা জানতে চায়। যারা পাজি টাইপের তারা বাজিয়ে দেখতে চায় নতুন মানুষটা সহজ সরল টাইপের কিনা সেটা দেখার জন্য, তাকে জ্বালাতন করে আনন্দ পাওয়া যায় কিনা সেটা বােঝার জন্য!

তবে মজার ব্যাপার হলাে কোনাে দলই বিশেষ সুবিধা করতে পারল। দেখা গেল মেয়েটা কথা বলতেই রাজি না। তাকে কিছু জিজ্ঞেস করলে সে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে তারপর কাঁধ ঝাকিয়ে বিড়বিড় করে কিছু একটা বলে। বিড়বিড় করে কী বলে সেটা নিয়েও কেউ পুরােপুরি নিশ্চিত কয়েকজন বলছে সে বলে, “আমি এখন কথা বলতে চাই না”, কয়েকজন বলছে সে বলে, “প্লিজ আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করাে না, আবার কয়েকজন বলছে সে বলে, “দূর হও—জাহান্নামে যাও বেকুব কোথাকার!” পরিচয় হওয়ার আগেই একজন সবাইকে বেকুব ডাকবে, জাহান্নামে যেতে বলবে সেটা বিশ্বাস হয় না কিন্তু কেউ আর কোনাে কিছুতেই নিশ্চিত না ।

কয়েক দিনের ভিতরেই সবাই হাল ছেড়ে দিল। বুঝে গেল মেয়েটা অন্যরকম, হয় বাড়াবাড়ি অহংকারী না হয় তার কোনো একটা ঝামেলাআছে।

মেয়েটার নাম সুষমা মেঘবতী এবং তার রােল নম্বর বাহান্ন। এ ছাড়া আর কেউ কিছু জানতে পারল না এবং মনে হলাে এইটুকু দিয়েই সবাইকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।

সবাই হাল ছেড়ে দিলেও টুনি হাল ছাড়ল না। সে একটিবারও মেয়েটির কাছে যায়নি কিংবা তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেনি। কিন্তু মেয়েটা সম্পর্কে জানার জন্য তার এক ধরনের কৌতূহল হলাে । সে এটাও বুঝতে পারল মেয়েটা সম্পর্কে আসলেই যদি কিছু জানা সম্ভব হয় তাহলে সেটা তার পক্ষেই সম্ভব, আর কেউ সেটা পারবে না।

টুনি তাই মেয়েটা যেখানে বসে তার থেকে কয়েকটা বেঞ্চ পিছনে এক পাশে একটু সরে গিয়ে বসতে লাগল যেন মেয়েটাকে সারাক্ষণ দেখতে পারে। কয়েকদিন তাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে সে মেয়েটা সম্পর্কে কয়েকটা বিষয় আবিষ্কার করল। একটি বিষয় হচ্ছে কোনাে একটা কারণে মেয়েটার খুবই মন খারাপ। কাউকে সে কিছু বুঝতে দেয় না কিন্তু উদাস মুখে কোনাে একদিকে তাকিয়ে থাকে তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তারপর খুব সাবধানে চোখের কোণ থেকে এক ফোটা পানি মুছে ফেলে। মেয়েটার মনে কোনাে একটা কষ্ট যার কথা কেউ জানে না। টুনির খুব মায়া হয় তার জন্য।

টুনি আরাে একটা জিনিস লক্ষ করল। মেয়েটা মাঝে মাঝেই তার ব্যাগের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে কিছু একটা ধরে নিশ্চিত হতে চায় সেটা এখনাে সেখানে আছে। অনেক সময় ব্যাগের ভিতর হাত ঢুকিয়ে বসে থাকে, আনমনা হয়ে কোনাে একদিকে তাকিয়ে থাকে।

যখন টিফিনের ছুটি হয় তখন সবাই হৈচৈ করে চিৎকার করে ক্লাশরুম থেকে বের হয়ে যায় শুধু এই মেয়েটা চুপ করে বসে থাকে। অনেক সময় দুই হাত টেবিলে রেখে সেই হাতে মাথা গুজে বসে থাকে। মেয়েটাকে আরাে ভালাে করে লক্ষ করার জন্য একদিন টুনি টিফিন ছুটিতে বের না হয়ে নিজের সিটে বসে গভীর মনােযােগ দিয়ে তার ডাইরি লিখতে লাগল—তাকে দেখলে মনে হতে পারে এই ডাইরি লেখার ওপরেই তার জীবন মরণ নির্ভর করছে । মেয়েটা একা থাকতে চায়। তাই নিশ্চয়ই মনে মনে মেয়েটা টুনির উপরে বিরক্ত হয়েছে কিন্তু তার কিছু করার নেই। মেয়েটা যেন কিছুই সন্দেহ না করে সে জন্য টুনি একবারও মাথা তুলে তাকাল না। চোখের কোণা দিয়ে বুঝতে পারল মাঝে মাঝে মেয়েটি মাথা ঘুরিয়ে টুনিকে দেখছে । যখন বুঝতে পারল……….

You can Jetuku Tuntuni setuku Chotacchu pdf download here.


আরো পড়ুনঃ 

  • জাফর ইকবালের নতুন বই ২০২২ পিডিএফ

Download/download/button
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন…
সরাসরি লিংক click here.

নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Jetuku Tuntuni setuku Chotacchu pdf ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning

Share
Tweet
Email
Prev Article
Next Article

Related Articles

Mukto bataser khoje pdf download | মুক্ত বাতাসের খোঁজে pdf download
Mukto Bataser Khoje pdf download – মুক্ত বাতাসের খোঁজে বইটি …

Mukto bataser khoje pdf download | মুক্ত বাতাসের খোঁজে pdf download

মুহম্মদ জাফর ইকবালের নতুন বই ২০২৩ পিডিএফ ডাউনলোড
Muhammed Zafar Iqbal New Books PDF Download – মুহম্মদ জাফর …

মুহম্মদ জাফর ইকবালের নতুন বই ২০২৩ পিডিএফ ডাউনলোড

About The Author

admin_u40ltm0y

Leave a Reply Cancel Reply

Recent Posts

  • Cheap Commercial Kitchen: Affordable Solutions for Your Business
  • Wholesale Restaurant Equipment Deals: Unbeatable Savings Today!
  • Commercial Restaurant Equipment Auction: Save Big on Top Brands
  • Economical Restaurant Cooking Equipment: Boost Efficiency & Savings
  • ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল ময়মনসিংহের দিবস সাহা (আদর)

Recent Comments

  • Mr WordPress on Hello world!
  • Meherab Ovi on Bangla About Us Page Generator For Blogger Website | ব্লগস্পট ব্লগারের জন্য বাংলায় আমাদের সম্পর্কে পৃষ্ঠা জেনারেটর
  • Admin on লোডশেডিং শিডিউল । বিভিন্ন জেলায় কারেন্ট যাওয়ার সময়সূচী – NESCO
  • Angel Masum on লোডশেডিং শিডিউল । বিভিন্ন জেলায় কারেন্ট যাওয়ার সময়সূচী – NESCO
  • Admin on Shosankandi | শ্মশানকান্দি

Archives

  • March 2025
  • January 2025
  • October 2024
  • August 2024
  • June 2024
  • May 2024
  • April 2024
  • March 2024
  • February 2024
  • January 2024
  • November 2023
  • October 2023
  • February 2023
  • January 2023
  • December 2022
  • October 2022
  • August 2022
  • July 2022
  • June 2022
  • May 2022
  • April 2022
  • March 2022
  • February 2022
  • January 2022
  • December 2021
  • November 2021
  • October 2021
  • September 2021
  • June 2021
  • May 2021
  • April 2021
  • March 2021
  • February 2021
  • May 2016

Categories

  • Restaurant
  • Uncategorized

Meta

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

My CMS

Just another WordPress site
Copyright © 2025 My CMS
Theme by MyThemeShop.com

Ad Blocker Detected

Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please consider supporting us by disabling your ad blocker.

Refresh