Grinit PDF Download - গ্রিনিট বইটি ড. যুবায়ের আহমেদ এর লেখা একটি নতুন বই। এটি একটি সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। ড. যুবায়ের আহমেদ সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে পরিচিত। গ্রিনিট বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২২ সালে। বইটি প্রকাশ করেছে বইবাজার প্রকাশনী।
দেখে নিনঃ
বইয়ের নামঃ গ্রিনিট
লেখকঃ ড. যুবায়ের আহমেদ
‘সার্ভার সিকিউরিটি টিম কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটেছে সব, মার্শিয়ানদের সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে তারা কিছুই করতে পারেনি, কিন্তু কিছু একটা হয়েছে যার কারণে জেফ কলোনি শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি’, এক নাগাড়ে বলে থামল উইলিয়াম।
ঝট করে ম্যাক্সের দিকে তাকাল নিও, ম্যাক্সও তাকিয়ে আছে নিওর দিকে। চোখে চোখে যেন কথা হয়ে গেল দুজনের।
ওদের এভাবে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে অবাক হল উইলিয়াম, ‘তোমরা কিছু জানো নাকি?’
‘কিছু জানি বললে ভুল হবে’, উইলিয়ামের দিকে ফিরল ম্যাক্স’, কিন্তু ‘কিছু একটা হয়েছে’ এর উত্তর হয়ত দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে পারব’।
উইলিয়ামের চোখে বিষ্ময় আর কৌতুহল, ‘খুলে বল তো বিষয়টা?’
Grinit বইয়ের কিছু অংশ
ঘুমটা ভাংতেই ঘড়িতে চোখ পড়ল, আটটা প্রায় ছুঁই ছুঁই। মাথা নষ্ট হয়ে গেল ম্যাক্সের, লেইট।
পড়িমরি করে উঠে দ্রত রেডি হয়ে নিল, ফ্রিজ খুলে বের করে নিল একটা ঠান্ডা বার্গারের প্যাকেট। বসে খাওয়ার সময় নেই, যেতে যেতে খেতে হবে।
ব্যাগটা পিঠে চাপিয়ে রোভার বোর্ডটা হাতে নিয়ে বের হয়ে আসল রাস্তায়। কন্ট্রোলার গ্লাভস হাতে পরে থ্রাস্টার এঞ্জিন চালু করে পায়ের নিচে দিল বাের্ডটা।
ছুটতে শুরু করল ব্যস্ত রাস্তা ধরে। মাটি থেকে প্রায় দুই ফুট উচ্চতায় ভেসে চলছে বাের্ডটা।
ঠাস ঠাস শব্দ হচ্ছে এঞ্জিনে, কিছুটা বিরক্তির আভা ফুটে উঠল ম্যাক্সের চেহারায়, আবার এঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বার্গার হাতে নিয়ে খেতে শুরু করল চলতে চলতেই বাইরের আলােয আসার সাথে সাথে বার্গারের প্যাকেটে ভেসে উঠল বিজ্ঞাপন। খাবারের প্যাকেটগুলােও ফোল্ডেবল প্লাস্টিক স্ক্রিন দিয়ে বানায় কোম্পানিগুলাে।
একজন শেফ বার্গার বানাচ্ছে, কিন্তু প্যাকেটটা অনেকটাই দুমড়ে-মুচড়ে আছে দেখে ভিডিও বিজ্ঞাপনটা ভালােভাবে বােঝা যাচ্ছে না, বােঝার ইচ্ছাও নেই ম্যাক্সের। আশপাশের পথচারীরা অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। সেটা নিয়ে বিচলিত না সে, সয়ে গেছে পথচারীদের অদ্ভুত দৃষ্টি।
ওর স্কেট বাের্ডটা বাজারের আন্ট্রা স্লিম হােভার স্কেট বাের্ডের মতাে দেখতে না, অনেকটা ঢাউস সাইজের জঞ্জালের মতাে। এটাই পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের মূল কারণ।
সামনে একটু জ্যামের মতাে দেখতে পেল ম্যাক্স, বাের্ডে একটু বাম্পিং করে লাফিয়ে উঠে পড়ল ফুটপাথে, ছুটতে শুরু করল পথচারীদের পাশ কাটিয়ে।
এরেনা রােডের শেষ মাথায় ট্রাফিক সিগনালের কাছাকাছি আসতেই হাতের কন্ট্রোলিং গ্লাভসের পাওয়ার বাটন চেপে এঞ্জিন অফ করে দিল, বাের্ড থেকে নেমে বাের্ডটা কাঁধে ঝুলিয়ে হাঁটা শুরু করল ফুটপাথের ওপর দিয়ে।
হােভার বাের্ডে লাইসেন্স ডট কোড থাকা লাগে, ম্যাক্সের বাের্ডে সেটা নেই। প্রতিটা এঞ্জিন চালিত বাহনেই এই রেজিস্ট্রি কোড থাকা লাগে। তাই সিগনাল পােস্টের কোড রিডিং এরিয়াটা ওকে পেরােতে হবে পথচারীর মতাে।
অযথা পুলিশি ঝামেলায় পড়তে চাচ্ছে না। শুধু ট্রাফিক ক্যামেরা তার কাঁধে ঝােলানা জঞ্জালটা বস্তুত কি সেটা না বুঝে ফেললেই হয়। সিগনালের ডট কোড রিডিং এরিয়া পেরিয়েই আবার বাের্ডে চড়ে ছুটতে শুরু করল ম্যাক্স।
তার হােভার বাের্ড জিটিসিএস এ রেজিস্টার্ড না।
গ্লোবাল ট্রাফিক কমিউনিকেশন সিস্টেমে (জিটিসিএস) এন্ট্রি না থাকলে অবশ্য অ্যাক্সিডেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ, প্রতিটা যানবাহনের অনবাের্ড কম্পিউটার পারস্পরিক কমিউনিকেশন রাখে কোনটা কখন কোথায় পার্কিং করবে বা কোন বাহন কোন বাঁকে টার্ন নেবে।
সবগুলাে বাহনের গন্তব্যের রাউটিং এবং টাইমিং প্রিম্যাপিং জিটিসিএস এ রেজিস্ট্রি হয়ে যায় যাত্রার শুরুতেই। সাথে রিয়েল টাইম রেজিস্ট্রি চলতে থাকে, যাতে প্রতিটা বাহনের অনববার্ড কম্পিউটার পিকোসেকেন্ডের মধ্যেই তার আশপাশের এক কিলাের মধ্যে যত গাড়ি আছে তার গতিপথ আর সিদ্ধান্ত জেনে নিতে পারে এবং আসন্ন দুর্ঘটনা এড়াতে পারে।
ম্যাক্সের বাের্ড যেহতু সিস্টেমকে কোনাে তথ্যই দিচ্ছে না, তাই তার যাত্রা পথের কোনাে তথ্য আশপাশের বাহনগুলাে পাচ্ছে না। এই কারণেই এঞ্জিনের ডট কোড স্ক্যান করে চেক করা হয় সেই বাহন জিটিসিএস এ রেজিস্টার্ড কিনা ...
নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Grinit PDF ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন