সাবমেরিন (Submarine) ইংরেজি শব্দ৷ সাব শব্দের অর্থ নিচে, এবং মেরিন অর্থ সমুদ্র বা সাগর। সমুদ্রের নিচ দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে সারা পৃথিবী জুড়ে ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে সাবমেরিন ক্যাবল বলা হয়।
যেহেতু এই ক্যাবল গুলো সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেকারনেই এর নাম দেয়া হয়েছে সাবমেরিন ক্যাবল। একদল দক্ষ ডুবুরির সাহায্যে সমুদ্রের তলদেশে এই ক্যাবল গুলো রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় বিশাল আকারের জাহাজ।
সাবমেরিন ক্যাবলের ইতিহাস
মহাকাশের স্যাটেলাইট দিয়ে টেলিযোগাযোগ বা ইন্টারনেট এর বিকল্প হিসেবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে, কিংবা এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত, দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী করার লক্ষে সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবহার করা শুরু হয়।
১৮৫০ সালে ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ড এর মধ্যে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছিল। প্রথম যাত্রায় এটি পুরোপুরি ভাবে সফল না হলেও ১৯৫৩ সালের দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় এটি সফল হয়৷ বর্তমান সাবমেরিন ক্যাবল এ অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহৃত হলেও প্রথম দিকে কপারের তার ব্যবহার করা হতো।
সাবমেরিন ক্যাবলের গাঠনিক উপাদান
সাবমেরিন ক্যাবল যেহেতু সমুদ্রের অনেক গভীর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই এটা অনেকটা শক্ত, অধিক চাপ সহনশীল এবং ওয়াটার প্রুফ হতে হয়।তাই এর উপরে বিশেষ ধরনের রাবার (পলিএথোলিন), কপার, এলুমিনিয়াম, ইত্যাদির কয়েক স্তরের আবরণ থাকে।
সাবমেরিন ক্যাবল কীভাবে কাজ করে?
সাবমেরিন ক্যাবল মূলত তিনটি ধাপে কাজ করে থাকে। যথা-
- টিয়ার-১
- টিয়ার-২
- টিয়ার-৩
টিয়ার-১ হচ্ছে সেই সকল কোম্পানির সাবমেরিন ক্যাবল, যারা সমুদ্র তলদেশে তাদের নিজস্ব খরচে এটা মেইনটেইন করে। এবং তারা লোকাল কোনো দেশের কোম্পানির কাছে ইন্টারনেট বিক্রি করে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড এরকম টিয়ার-১ কোম্পানি। লোকাল সিম কার্ড কোম্পানি অথবা বিভিন্ন বড় বড় ইন্টারনেট পাবলিশার হচ্ছে টিয়ার-২। বিভিন্ন অঞ্চলের লোকাল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার হচ্ছে টিয়ার-৩।
বাংলাদেশের দুটি সাবমেরিন ক্যাবল রয়েছে৷ এ সাবমেরিন ক্যাবলগুলো হচ্ছে SEA-ME-WE-4 এবং SEA-ME-WE-5. এগুলোর ল্যান্ডিং স্টেশন একটি কক্সবাজার এবং অপরটি কুয়াকাটায় অবস্থিত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন