আমাদের বাস্তব জীবনে উপস্থিত বুদ্ধি অনেক কাজে আসে। একটু উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগ করলেই আমরা অনেক বড় বড় বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে পারি।তাছাড়া বিভিন্ন চাকরির ইন্টারভিউ তে উপস্থিত বুদ্ধি অনেক কাজে লাগে। কীভাবে উপস্থিত বুদ্ধি বাড়ানো যায় এবং উপস্থিত বুদ্ধি বাড়ানোর উপায় নিয়েই আজকের পোস্টে আলোচনা করা হবে।
অনেকের মাঝে উপস্থিত বুদ্ধি জিনগত এবং পরিবেশগত ভাবে প্রাপ্ত হয়। আশেপাশের অনেক মানুষ দেখা যায় যারা উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে অনেক কাজ হাসিল করছেন। তারা হয়তো উপস্থিত বুদ্ধি জিনগত ভাবে পেয়েছেন, কিন্তু চেস্টা করলে উপস্থিত বুদ্ধি বাড়ানোও সম্ভব। এটা সুদীর্ঘ প্রক্রিয়া।কারো ধৈর্য্য থাকলে উপস্থিত বুদ্ধি না থাকলেও সে সেটা অর্জন করতে পারবে। এজন্য তার মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। উপস্থিত বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য যা যা করতে হবে তা হলোঃ
১। বিভিন্ন ধরণের ব্রেইন গেইমস খেলার মাধ্যমে মস্তিষ্কের দক্ষতা বাড়াতে হবে। যেমন দাবা খেলা। দাবা খেলা মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তি ও কর্মদক্ষতা বাড়ায়।
২। নতুন কিছু শেখার কোনো বিকল্প নেই। নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে আমাদের ব্রেইন সেল বাড়ে। আর ব্রেইনের অসংখ্য সেলের মধ্যে কানেকশন তৈরী হয়।যা মস্তিষ্কের মনে রাখার ক্ষমতা ও কর্মদক্ষতা বাড়ায়। এর জন্য আপনি বই পড়তে পারেন, নতুন ভাষা শিখতে পারেন, প্রোগ্রামিং শিখতে পারেন, অথবা গিটার শিখতে পারেন।
৩। গবেষণায় দেখা গেছে নতুন ভাষা শেখার মাধ্যমে আমাদের ব্রেইনের কিছু অব্যবহৃত অংশ কর্মক্ষম হয়। কথা বলার সময় কোনো উত্তর মাথায় আসলেও আমরা ঠিকমত বলতে পারি না, বা উত্তর অগোছালো হয়, কারণ আমাদের ব্রেইন Translate করতে পারে না। এইগুলো যথাক্রমে ব্রেইনের BROCA'S AREA এবং WERNEK'S AREA এর কর্মক্ষমতা হ্রাসের কারণে হয়ে থাকে। নতুন কিছু শেখা, নতুন কিছু পড়া, নতুন অভিজ্ঞতা লাভের মাধ্যমে আমাদের ব্রেইনের এই অংশ গুলো সক্রিয় করে তুলতে হয়।
৪৷ ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের ব্রেইন এন্ডোরফিন রিলিজ করে যা আমাদের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। আমাদের মন ভালো থাকলে আমরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সহজেই দিতে পারি।তাছাড়া ব্যায়াম এর মাধ্যমে আমাদের নিউরন সেল বৃদ্ধি পায় যা আমাদেরকে বিভিন্ন জিনিস মনে রাখতে সাহায্য করে। ব্রেইন কে সক্রিয় রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে।
৫। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের চিন্তাশক্তির উপর প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন ঘটনা ও ফিড আমাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে, যা আমাদের critical thinking এর ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই যথা সম্ভব কম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। কেননা এটা আমাদের ব্রেইন কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যথেস্ট।
নতুন কিছু শিখতে হবে, নতুন কিছু জানতে হবে, নতুন নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে। মনে রাখতে হবে উপস্থিত বুদ্ধি এমনিতেই অর্জন করা সম্ভব নয় তা, নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই সম্ভব।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন