আমরা আমাদের মানবদেহ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি না। মানবদেহ নিয়ে আমাদের জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই। অনেক আগে থেকেই মানদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে গবেষণা হয়ে আসছে। আর প্রতিনিয়ত গবেষণা হতে বের হয়ে আসছে অবাক করে দেয়ার মত তথ্য। আজকে আমাদের দেহ সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য আলোচনা করা হবে যা আমাদের কাছে অজানা।
(১) আমাদের ব্রেইন ব্যথার অনুভূতি সরবরাহ করলেও নিজে কোনো ব্যথা অনুভব করে না।
(২) আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে কোন অনুভূতি প্রতি ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে প্রবাহিত হয়।
(৩) দেহের সব শিরাকে যদি পাশাপাশি সাজানো হয় তাহলে দেড় একর জমির প্রয়োজন হবে।
(৪) মানুষের শরীরে পেশীর সংখ্যা ৬৫০টি। মুখমন্ডলেই ৩০ টির বেশী পেশী আছে। কোনো কোনো কাজে ২০০ টি পেশী সক্রিয় হয়। হাসির সময় ১৫ টি পেশী সক্রিয় হয়।
(৫) একজন মানব শিশু যখন জন্মগ্রহন করে তখন তার হাড় সংখ্যা হয় ৩০০ টি। কিন্ত পরবর্তিতে তা কমে হয়ে যায় ২০৬ টা।
(৬) আমাদের দেহে অক্সিজেন সরবরাহকারী অতি প্রয়োজনীয় লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ ২৫০০ কোটি। এদের আয়ুস্কাল ১২০ দিন।
(৭)মানুষ যা কিছু অনুভব করে, দেখে, পড়ে, আর শোনে ব্রেইন এর সব কিছু ধরে রাখার সামর্থ্য আছে।
(৮) একজন মানুষের দেহে তার মোট ওজনের ১৩ ভাগের এক ভাগ পরিমান রক্ত থাকে। অর্থাৎ একজন মানুষের ওজন ৫২ কেজি হলে তার দেখে ৪ লিটার রক্ত থাকবে।
(৯) আঙ্গুলের ছাপ বা ফিঙ্গার প্রিন্টের মতো ঠোঁটের ছাপ বা লিপ প্রিন্ট ও অনন্য। একজনের ফিঙ্গার প্রিন্ট যেমন আরেকজনের সাথে মেলে না ঠিক তেমনি একজনের লিপ প্রিন্টও আরেকজনের সাথে মিলবে না।
(১০) চোয়ালের হাড় হচ্ছে মানব দেহের সবচেয়ে শক্ত হাড়।
(১১) একজন স্বাভাবিক পুর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে ২০ বর্গফুট পরিমান চামড়া রয়েছে।
(১২) ব্রেইন আমাদের দেহের মোট ওজনের শতকরা ২ ভাগ হলেও দেহের প্রয়োজনীয় মোট ক্যালরি ও অক্সিজেনের শতকরা ২০ ভাগই ব্রেইন এর প্রয়োজন হয়।
(১৩) একজন মানুষের চামড়ার ওপর যে পরিমান লোমকূপ রয়েছে তার পরিমান ১ কোটি।
(১৪) পৃথিবীতে একমাত্র প্রাণী হলো মানুষ যারা হাসতে পারে এবং এর অর্থ বুঝতে পারে। হায়নারা হাসির মতো শব্দ করলেও তারা হাসির অর্থ বুঝতে পারে না।
(১৫) মানুষের দেহে বা মনে কোনো অনুভূতি তৈরি হলে তা মস্তিষ্কে পৌঁছতে মাত্র ০.১ সেকেন্ড সময় লাগে।
(১৬) ব্রেইন এর শতকরা ৮০ ভাগই পানি, এর অর্থ হলো ব্রেইন কে কার্যক্ষম রাখতে হলে সঠিক পরিমানে পানি গ্রহন করতে হবে।
(১৭) আমাদের অনেকের ধারণা যে, ব্রেইন দিনে বেশি কার্যকর থাকে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমাদের ব্রেইন ঘুমের সময় সবচেয়ে বেশি কার্যকর থাকে।
(১৮) আমাদের মস্তিষ্ক প্রায় ১০,০০০ টি বিভিন্ন ধরণের গন্ধ চিনতে ও স্মৃতি তে সংরক্ষণ করে রাখতে পারে।
(১৯) যেসব ব্যক্তি বুদ্ধিমান তাদের চুলে তামা এবং দস্তার পরিমান বেশি।
(২০) একজন মানুষের দেখে যে পরিমান স্নায়ুতন্ত্র আছে তা যদি লম্বালম্বি ভাবে জোড়া দেওয়া হয় তাহলে তা দিয়ে পৃথিবীকে প্রায় ৭ বার পেঁচানো যাবে।
(২১) কোনো কিছু না খেয়ে মরার চেয়ে না ঘুমিয়ে আগে মরার সম্ভাবনা বেশি। টানা ১০ দিন না ঘুমালেই একজন মানুষ মারা যেতে পারে।
(২২) মানুষের শরীরে যে পরিমাণ চর্বি আছে তা দিয়ে ৭ টি বড় বড় কেক তৈরি করা সম্ভব।
(২৩) একটি রক্তকণিকা একস্থান থেকে যাত্রা শুরু করে সমগ্র শরীর ঘুরে আবার ঐ স্থানে ফিরে আসতে মোট ১,০০,০০০ কি.মি. পথ অতিক্রম করে যা দিয়ে আড়াই বার পৃথিবীকে অতিক্রম করা সম্ভব।
(২৪) মানব দেহে রোগ প্রতিরোধকারী শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা ২৫০ কোটি এবং এরা মাত্র ২-৫ দিন বাঁচে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন