Message pdf download | ম্যাসেজ pdf download - মিজানুর রহমান আজহারি

Message pdf download | ম্যাসেজ pdf download - মিজানুর রহমান আজহারি

Message pdf download - ম্যাসেজ বইটি ইসলামী আলোচক মিজানুর রহমান আজহারির লেখা প্রথম বই। এই বইটি এবারের বইমেলা ২০২১ এ প্রথম প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান প্রকাশনী।মিজানুর রহমান আজহারি হুজুরের লেখা "ম্যাসেজঃ আধুনিক মননে দ্বীনের ছোঁয়া" ২০২১সালের আট এপ্রিল একুশে বইমেলায় গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স হতে প্রকাশিত হয়েছে।


দেখে নিনঃ 


বইয়ের নামঃ ম্যাসেজঃ আধুনিক মননে দ্বীনের ছোঁয়া

লেখকঃ মিজানুর রহমান আজহারি

Message বইটি একটি ইসলামি আলোচোনার বই। এই বইয়ে মিজানুর রহমান আজহারি কুরআন সুন্নাহর উদ্ধৃতি, সাহাবীদের বক্তব্য, সালাফদের কথা, বিভিন্ন শিক্ষণীয় ঘটনা, ক্লাসিকাল ও আধুনিক স্কলারদের রেফারেন্সের পাশাপাশি তার নিজস্ব কিছু চিন্তা-ভাবনা উপস্থাপন করা হয়েছে। এই বইটি সকল ধর্ম, বয়স, শ্রেণি-পেশার পাঠকদের বোঝার উদ্দেশ্যে সহজ ভাষায় শব্দের মারপ্যাচ ও রাশভারি কথামালা পরিহার করে লেখা হয়েছে।


Message বইয়ের কিছু অংশ

কুরআনের মা

সূরা ফাতিহা পবিত্র কালামুল্লাহ মাজিদের একটি তাৎপর্যপূর্ণ উদ্বোধনী বক্তব্য (Maiden Speech), একটি সার্থক মানপত্র, একটি প্রার্থনা, একটি শ্রেষ্ঠ সারাংশ এবং একটি প্রতিষেধক। অসংখ্য গুণে গুণান্বিত এই ছােট্ট সূরাটি কুরআনের প্রথম সূরা। এই সূরা দিয়েই কুরআনের সূচনা। আর ‘ফাতিহা' শব্দের আক্ষরিক অর্থই হলাে—শুরু বা সূচনা। এই সূরাকে ‘ফাতিহাতুল কিতাব বা কিতাবের ভূমিকা হিসেবেও অভিহিত করা হয়। এ সূরার মধ্য দিয়েই খুলে যায় কুরআনের বিস্ময়কর জগতের দ্বার! এই সূরার পথ পরিভ্রমণের মধ্য দিয়েই কুরআনের মহিমান্বিত রূপ আমাদের গােচরে আসে।


সূরা ফাতিহা মূলত একটি প্রার্থনা; যা মানুষের জীবনের পথ ও পাথেয় বর্ণনা করে। এই সূরার মাধ্যমেই আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মাদিকে শিক্ষা দিয়েছেন প্রার্থনা করার পদ্ধতি। এই সূরায় অঙ্কিত হয়েছে মানবকুলের জন্য সহজ-সরল ও সঠিক জীবন-পথের পূর্ণাঙ্গ চিত্র। এ সূরার ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে কুরআনের সামষ্টিক মহিমান্বিত রূপ, বর্ণিত হয়েছে তার সারমর্ম। বিচিত্র বিষয়ের অবতারণা হয়েছে এই সূরায়। মূল, কাণ্ড, পাতা, ফুল ও ফল মিলে যেমন একটি পরিপূর্ণ উদ্ভিদ হয়, তেমনি বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণের সমন্বয়ে সূরা ফাতিহা পরিপূর্ণতা লাভ করছে।


এই রব শব্দের ছয়টি অর্থ রয়েছে—


  • আল মালিক : যিনি সমস্ত কিছুর মালিক।
  • আস-সায়্যিদ : যিনি সবকিছুর ওপর সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব রাখেন।
  • আল মুরাব্বি : যিনি সমস্ত কিছুর বৃদ্ধি ও পরিপক্বতা (Growth and Maturity) নিশ্চিত করেন।
  • আল মুরশিদ : যিনি সবকিছুর পথ দেখান ।
  • আল কাইয়্যিম : যিনি সবকিছুর অস্তিত্ব নিশ্চিত করেন।
  • আল মুনয়িম : যিনি সমস্ত কিছু উপহার দান করেন।


রব শব্দের পুরাে অর্থ বুঝতে এই ছয়টি অর্থই আমাদের হৃদয়ঙ্গম করতে হবে। এই অর্থগুলাে সামনে রাখলে বুঝতে পারব—আমরা যে রবের প্রশংসা করি, তিনি কে।


রব শব্দের একটা অর্থ—মালিক। এজন্য কোনাে বস্তুর মালিককে আরবি পরিভাষায় ‘রব্দুদল-মাল' এবং বাড়ির মালিককে “রব্রুদ-দ্বার বলা হয়। মানুষ যাকে নিজের রিজিকদাতা ও প্রতিপালক বলে মনে করে, যার নিকট হতে মান-সম্মান, উন্নতি ও শান্তি লাভ করার আকাক্সক্ষা করে থাকে, মানুষ যাকে প্রভু, মনিব ও মালিকরূপে অবহিত করে এবং বাস্তবজীবনে যার আনুগত্য ও আদেশ পালন করে চলে, প্রকৃতার্থে তিনিই রব, প্রতিপালক। আমাদের যার যখন যেটা যতটুকু দরকার, তাকে তখন সেটা চাইতেই যিনি ব্যবস্থা করে দেন, তিনিই হলেন রব।


আমরা মায়ের গর্ভে থাকাকালীন আল্লাহর কাছে কিছুই চাইতে পারিনি; তবুও আল্লাহ তায়ালা সেখানে আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন। এরপর যখন ভূমিষ্ঠ হলাম, ‘ওয়া ‘ওয়া শব্দে কান্না করা ছাড়া তখনও কিছু বলতে পারিনি। তবুও দয়াময় আল্লাহ মায়ের বুকের ভেতর আমাদের জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মায়ের বুকের দুধ খেয়ে আমরা ক্ষুধা নিবারণ করতাম। এই সময় আমাদের দাঁতের কোনাে দরকার ছিল না। ফলে আল্লাহ আমাদের দাঁত দেননি। এবার মানবশিশু কিছুটা বড়াে হতে লাগল। এখন ভাত, মাছ, মাংস এগুলো চিবােতে হবে; অর্থাৎ দাঁতের প্রয়ােজন। ঠিক এই সময়টিতে আল্লাহ চাওয়ার আগেই ধীরে ধীরে মুখের মধ্যে দাঁত সেট করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ!


মুমিনের হাতিয়ার

‘দুআ মাত্র দুই অক্ষরের একটি শব্দ। কিন্তু শব্দটির ক্ষমতার ব্যাপক ও বিস্তৃতি পরিমাপ করা সত্যিই বড় কঠিন। এ যেন মালিক ও দাসের মধ্যে চাওয়া-পাওয়ার সেতু নির্মাণকারী এক কারিগর। একজন ক্ষুদ্র দাস আরশে আজিমের মালিকের কাছে মিনতি করছে, ভিক্ষা মাঙছে আর মনিব উজার করে সব দিয়ে দিচ্ছেন—এ যেন ওয়ান টু ওয়ান বােঝাপড়া। কী দারুণ একটা ব্যাপার! সুবহানাল্লাহ।


দুআর মাধ্যমে আমরা মূলত আল্লাহর প্রতিটি নাম ও বিশেষত্বের স্বীকৃতি দিই । আমরা স্বীকৃতি দিই, তিনি আমাদের স্রষ্টা আর আমরা তাঁর অনুগত দাস । আমাদের লালন-পালন, নিয়ন্ত্রণ সবকিছুই তার হাতে। আমাদের যাবতীয় কার্যকলাপ তিনি শুনছেন, দেখছেন। তিনি সর্বশক্তিমান। সবকিছুর ওপর তিনি ক্ষমতাবান। দুআ মানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আত্মসমর্পণ, উপাস্য হিসেবে তাঁর একক অধিকারের স্বীকৃতি।


দুআ আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য বিশেষ উপহার। দুআ করা এবং দুআ চাওয়া দুটোই সুন্নাহ। দুআ একটি মহৎ ইবাদতও বটে। বিশ্বনবি বলেন- 

‘আল্লাহর দৃষ্টিতে দুআর চেয়ে মহৎ কিছু নেই।' (সহিহ বুখারি : ৫৩৯২)


দুআ একটা আর্ট বা শিল্প। একে রপ্ত করতে হয়, আত্মস্থ করতে হয়। সব কাজের মধ্যে যেমন ফার্স্ট-ক্লাস, সেকেন্ড-ক্লাস, থার্ড-ক্লাস আছে, তেমনি দুআর মধ্যেও ফাস্ট-ক্লাস, সেকেন্ড-ক্লাস, থার্ড-ক্লাস আছে। কেউ ফাস্ট-ক্লাস দুআ করলে আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করে নেন। আর থার্ড-ক্লাস দুআ করলে সেই দুআ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমন অনেক দুআকারী আছে—যাদের দুআয় কোনাে আবেগ ও ভাবাবেগ থাকে না। এ যেন রােবটিক দুআ-ফাপা, নিষ্প্রাণ; দুআ করার জন্য দুআ। এ রকম দুআ আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না।


দুআ করতে হবে আবেগ দিয়ে, যে আবেগ চোখের জলের বাঁধ ভেঙে দেবে। হৃদয়কে করবে নরম, উর্বর। বান্দার চোখের পানি আল্লাহ খুব পছন্দ করেন। অনুতপ্ত বান্দার চোখের পানি নাকের ডগা বেয়ে মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহ তায়ালা তার দুআ কবুল করে নেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন। দয়ার নবি বলেন-

‘দুই ধরনের ফোঁটা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয়। এক, অনুতপ্ত বান্দার চোখের অশ্রুর ফোঁটা; দুই, জিহাদের ময়দানে শহিদের রক্তের ফোটা। (জামে আত-তিরমিজি : ১৬৬৯)


দুআর শক্তি


দুআ মুমিনের অসাধারণ এক হাতিয়ার। দুনিয়ার সবকিছুর কারিশমা যেখানে শেষ, দুআর কারিশমা সেখান থেকেই শুরু। সব ক্ষমতা যেখানে অকার্যকর, দুআর ক্ষমতা সেখানেই কার্যকর। দুআর মাধ্যমে সরাসরি আল্লাহর কাছে ধরনা দেওয়া হয় । আর আল্লাহর দরবারে 'না' বলতে কিছু নেই; আছে শুধু “হ্যা'। দুআর অসাধারণ কিছু শক্তি জেনে নেওয়া যাক।


দুআ ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার: মানুষের তাকদিরে সাধারণত কোনাে পরিবর্তন হয়। মহাবিশ্ব সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর আগে আল্লাহ আমাদের তাকদির লিখে রেখেছেন, কিন্তু দুআর বদৌলতে তাকদিরও পরিবর্তন হতে পারে। ইংরেজিতে একটি কথা আছে  "Everything is pre-written, but by supplication its re-written. বিশ্বনবি (সাঃ) বলেন- 

‘দুআর বদৌলতে তাকদিরের কিছু অংশ বদলে যায়।' (জামে তিরমিজি : ২১৩৯)


আমরা প্রায় সময় শুনি, অমুক রােগীর ক্যানসার বেশিদিন বাঁচবে না। বাংলাদেশের সেরা ডাক্তার ঘােষণা দিয়েছেন, বাচলে সর্বোচ্চ ছয় মাস। কিন্তু দেখা যায়, সেই লােকটি আরও দশ বছর বেঁচে থাকে। এটা কীভাবে সম্ভব? কেবল দুআর বরকতেই সম্ভব হয়।


কুরআনিক শিষ্টাচার


একবার বনু তামিম গােত্রের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের এক লােক এসে নবিজিকে ডাকা শুরু করল-ইয়া মুহাম্মাদ, ইয়া মুহাম্মাদ' বলে। নবিজিকে এভাবে আদবহীনভাবে ডাকাডাকি আল্লাহ পছন্দ করেননি। তাই আদৰ শিক্ষা দেওয়ার জন্য আল্লাহ রব্দুল ইজ্জত এই আয়াতটি নাজিল করলেন। (মুসনাদে আহমাদ : ৩/৪৪৮)

বন্ধুর বাড়িতে গেলে মানুষ বন্ধুকে যেভাবে নাম ধরে ডাকে, নবি -এর বাড়িতে এসেও তারা একইভাবে তাকে ডাকতে শুরু করেছিল। এর বিপরীতে তাদের কী করা উচিত ছিল, তা আল্লাহ পরের আয়াতে বলে দিয়েছেন—

“তুমি নিজেই বাইরে বের হয়ে তাদের কাছে আসা পর্যন্ত যদি তারা ধৈর্যধারণ করত, সেটাই তাদের জন্য শ্রেয় হতাে। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।'' (সূরা হুজুরাত : ০৫)


আমরাও মাঝে মাঝে কারও বাড়িতে গেলে শিষ্টাচার বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত ডাকাডাকি করি, তাড়াহুড়াে করি, অস্থিরতা প্রকাশ করি—'আরে! কতক্ষণ ধরে বসে আছি! আসে না ক্যান?' হতে পারে—আমি যখন তার বাসায় এসেছি, তখন তার ঘুমের সময়। মনে রাখতে হবে, যার বাড়িতে গেলাম, সে-ও তাে একজন মানুষ। তারও তাে অনেক সুবিধা-অসুবিধা থাকতে পারে, তারও তাে পেরেশানি আছে, তাই না? সুতরাং আমরা যে কারও বাসায় যাই না কেন, একটু ধৈর্য ধরব। তাকে সুন্দরভাবে উপস্থিত হওয়ার সময় দেবাে। সবচেয়ে ভালাে হয়—কোথাও যাওয়ার আগে তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া। তার ব্যস্ততা আছে কি না জেনে নেওয়া। মােবাইলে কথা বলার ক্ষেত্রেও এই শিষ্টাচারগুলাে স্মরণ রাখা উচিত। কারও বিশ্রাম, ঘুম, নামাজ, এমনকী ‘অফিস টাইমে ফোন দেওয়া উচিত না। কাউকে ফোন দেওয়ার পূর্বে এসব চিন্তা করা দরকার। আমরা অনেকেই একবার ফোন রিসিভ না করলে একের পর এক ফোন দিতেই থাকি। এমনও তাে হতে পারে, ব্যক্তিটি নামাজে আছে কিংবা ওয়াশরুমে আছে। তাই একবার ফোন রিসিভ না করলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা উচিত।


এক্ষেত্রে স্ত্রীকে যদি স্বামীর ফোন রিসিভ করতেই হয়, তাহলে কথা বলার ক্ষেত্রে স্ত্রী অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। ফোন ধরে শুধু স্বামীর ব্যস্ততার কারণটা বলে কেটে দেবেন। অতিরিক্ত কথা একদম বলবেন না। কারণ, ফোনের এপাশ থেকে আপনি, ওপাশ থেকে পরপুরুষ আর মাঝখানে থাকে শয়তান !



You can Message pdf download here.


আরো পড়ুনঃ 


Download/download/button


নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Message pdf ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন