এখানে Shorforaj Shipon (সরফরাজ শিপন) নামের একজন অতি মাত্রায় ভালো ছেলে সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
Shorforaj Shipon সম্পর্কে
Shorforaj Shipon ছেলেটি ভালো। সে সব সময় বন্ধুদের প্রতি সদয়। সরফরাজ শিপন আবেগি। কোনো মেয়ের সাথে সে বর্তমানে প্রেম করে না। এই পৃথিবীর সব গুলো ভালোদের যদি একটা লিস্ট করা হয় তাহলে এই ব্যক্তিকে ১০ এর মধ্যে যদি না রাখা হয় তাহলে ভালোদের কে অপমান করা হবে।
Shorforaj Shipon এর পড়াশোনা
Shorforaj Shipon (সরফরাজ শিপন) ৮ বছর বয়সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (শ্মশানকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) ভর্তি হয়। সেখানেই তার প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয়। অত্র বিদ্যালয়ে সে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে। ৫ম শ্রেণীতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় স্কুলের মধ্যে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করে। সে জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে।
এরপর Shorforaj Shipon ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয় স্থানীয় হাইস্কুল ( আর আর এম ইউ উচ্চ বিদ্যালয়) এ। স্কুলটি মালিপাড়া তে অবস্থিত। সেখানে ভর্তি পরীক্ষায় সে অষ্টম স্থান অধিকার করে। কিন্তু পরের পরীক্ষাতেই সে প্রথম স্থান দখল করে নেয়। সে বর্তমানে দশম শ্রেণীতে পড়ে। সেই তখন থেকে তার রোল এক। তার অবস্থান থেকে কেউ তাকে সরাতে পারেনি।
সে 'এস এস সি' ২০২১ ব্যাচ এর ছাত্র। সে যদিও ২১ ব্যাচ এর ছাত্র কিন্তু সে তাদের এস এস সি পরীক্ষা সঠিক সময়ে দিতে পারে নি। তাদের এস এস সি পরিক্ষা ২০২১ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সম্পন্ন হয়, যদিও তাদের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিলো ফেব্রুয়ারীর শুরুতে।
সরফরাজ শিপন এর জীবনের লক্ষ হলো ডাক্তার হওয়া। সে পড়াশোনা করে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চায়। তাই সে এখন থেকেই তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সে অনেক পরিশ্রম করে এবং অনেক ভালো পড়াশোনা করে। সে তার পড়াশোনার ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস।
Shorforaj Shipon এর প্রিয় খেলোয়ার
Shorforaj Shipon (সরফরাজ শিপন) এর প্রিয় খেলোয়ার হলেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকুর রহিম ১৯৮৭ সালের ৯ মে বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন উইকেট-রক্ষক এবং মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট এই তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন।
মুশফিকুর রহিম ছোটখাটো গড়নের একজন সদা হাস্যোজ্জ্বল খেলোয়ার। খেলার সময় স্ট্যাম্পের পেছনে বকবক করার জন্য অধিক পরিচিত। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনিই সর্বপ্রথম ডাবল সেঞ্চুরি তথা সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর কৃতিত্ব অর্জন করেন।
মুশফিকুর রহিম এর প্রাথমিক জীবন
মুশফিকুর রহিম বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মাহবুব হাবিব ও মাতা রহিমা খাতুন। মুশফিকুর রহিম বগুড়া জিলা স্কুল এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এর ছাত্র ছিলেন। এছাড়াও তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
মুশফিকুর রহিম ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড সফরে প্রথমবারের মত জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯ রান করেই তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। অপরিচিত পরিবেশের কারণে মূলত বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের যথেষ্ট ভুগতে হয়।
মুশফিকুর রহিম এর খেলোয়াড়ী জীবন
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ২০০৬ এ মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন। এই দলে সাকিব আল হাসান ও ছিলেন এবং বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যেতে সমর্থ হয়। তিনি ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অনবদ্য ৭১ রানের ইনিংসের জন্য বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে এ ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
২০০৯ সালের জিম্বাবুয়ে সফরে মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত হন। তখনকার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে সাকিব আল হাসান তার স্থলাভিষিক্ত হন এবং মুশফিকুর রহিম সহ-অধিনায়ক সাকিবের দায়িত্ব পান। ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর জাতীয় ক্রিকেট লীগের একটি ম্যাচে তিনি রাজশাহীর হয়ে তিনি ১১৪ বলে করেন ১২০ রান। মুশফিকুর রহিম ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা শুরু করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়।
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় মুশফিক বাংলাদেশ দলের ১৫-সদস্যের মধ্যে অন্যতম সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। ২০১৫ সালের ৯ মার্চ তারিখে অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের ৫ম খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩য় উইকেটে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সাথে নিয়ে ১৪১ রানের জুটি গড়েন। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিকুর রহিম আইসিসি'র প্লেয়ার অব দ্যা মান্থ (২০২১ সালের মে মাসের) খ্যাতি অর্জন করেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন