Monir Saheber Telesmati Kando pdf Download | মনির সাহেবের তেলেসমাতি কান্ড pdf download

Monir Saheber Telesmati Kando pdf download | মনির সাহেবের তেলেসমাতি কান্ড  pdf download 

Monir Saheber Telesmati Kando Pdf download - মনির সাহেবের তেলেসমাতি কান্ড বইটির লেখক আসাদুল্লাহ আতিক। তিনি "আতিক ভাই" নামেই সমধিক পরিচিত। এটি আতিক ভাইয়ের লেখা প্রথম বই। আসাদুল্লাহ আতিক (আতিক ভাই) করোনাকালীন সময়ে ফেসবুকে একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণীর বিভিন্ন বই এর রিভিউ এর মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলেন এবং বর্তমানে প্রায় এক ডাকেই সবাই তাকে আতিক ভাই নামে চেনেন।


অনেকেই মনে করতে পারেন তিনি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার সুবাদে তিনি বই লিখে আরো ফেমাস হওয়ার চেষ্টা করছেন‌। কিন্তু তিনি তার একটি ভিডিওতে জানান যে বইটি তিনি অনেক আগে থেকেই তিনি বইটি লেখা শুরু করেছেন। করোনার সময়ে তিনি Monir Saheber Telesmati Kando বইটি লেখা শেষ করেছেন।


দেখে নিনঃ 


Monir Saheber Telesmati Kando pdf Download | মনির সাহেবের তেলেসমাতি কান্ড pdf download


বইয়ের নামঃ মনির সাহেবের তেলেসমাতি কান্ড

লেখকঃ আসাদুল্লাহ আতিক

Monir Saheber Telesmati Kando বইটি মনির সাহেব নামের একজন ব্যক্তিকে নিয়ে লেখা হয়েছে। মনির সাহেব পেশায় একজন ব্যাংকার। তিনি তার বাবার ইচ্ছায় ব্যাংকার হলেও বিজ্ঞানের প্রতি প্রবল আকর্ষন ছিলো। তার অদ্ভুত অদ্ভুত বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনার কারণে তার কাছের মানুষজন বিপদে পড়ে যান। এই কারণে তাকে জেলেও যেতে হয়েছে। কিন্ত তিনি তার আশা ছাড়েন নি। এই সব ঘটনা নিয়েই মনির সাহেবের তেলেসমাতি কান্ড বইটি লেখা হয়েছে।


Monir Saheber Telesmati Kando বইয়ের কিছু অংশ

সকাল বেলা বাজার থেকে কিনে আনা ম্যাজিক লাইটটির দিকে তাকিয়ে আছেন মনির সাহেব। দােকানদারের ভাষ্যমতে, এ লাইট ঘরে জ্বললে পােকামাকড় মরে যাওয়ার কথা। ৬০ টাকার একটা হলুদ লাইট এজন্যই ২৫০ টাকা দিয়ে কিনে এনেছেন তিনি। কিন্তু এখন অবাক হয়ে দেখছেন, মারা যাওয়া তাে দুরের কথা পােকামাকড়গুলাে নতুন লাইটকে কেন্দ্র করে মহাআনন্দে উড়ে বেড়াচ্ছে। মারা যাওয়ার কোনাে লক্ষণ এদের ভিতর দেখা যাচ্ছে না।


তিনি যে এ প্রথম বাজারেপিয়ে ঠকেছেন-তা না। এটা উনার নিত্যদিনের ব্যাপার।এই তাে গত স্হে মাত্র ৩০ দিনে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তিন্য মােটা টাকা খরচ করে মহৌষধ নিয়ে এসেছিলেন। পরে প্যাকেট খুলে জানা যায় সেটা কালােজিরার সঙ্গে শুকনাে নিমের বিচির মিশণ। মনির সাহেবের এসব ব্যতিক্রমী জিনিসের প্রতি আগ্রহ প্রবল। কেউ যদি ১০ টাকার একটা পেপ্সিল বাজারে এনে বলে, এই পেন্সিল ঘরে রেখে দিলে এক সপ্তাহ পর দুই ইঞ্চি লম্বা হয়ে যাবে তাহলে মনির সাহেবে খুশি মনে সেই পেনছিল ১০০ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে আসবেন। এরপর প্রতিদিন ফিতা দিয়ে মেপে মেপে দেখবেন আসলেই লম্বা হলাে কিনা। এজন্য রাহেলা খাতুনের কাছে কম বকা খাননি তিনি।


রাহেলা খাতুন মনির সাহেবের সহধর্মিণী। মনির সাহেব চুম্বকের উত্তর মেরু হলে রাহেলা খাতুন দক্ষিণ মেরু। মধ্য বয়স্কা এই স্কুল টিচারের নাকের নিচ দিয়ে এক টাকাও ঠকিয়ে নেওয়ার সাধ্য নেই কারও। দীর্ঘ এই সংসার জীবনের আক্ষেপ একটাই মনির নামের লােকটাকে তিনি শােধরাতে পারেননি। এখন রাগের পাশাপাশি হতাশাও ভর করেছে রাহেলা খাতুনের উপর। 


তার গত জন্মদিনে মনির সাহেব কোথা থেকে যেন অনেক দাম দিয়ে একটা ছােট স্পিকারের মতাে যন্ত্র কিনে নিয়ে এসেছিলেন বউকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য। সে যন্ত্র কারেন্টে লাগালে পিইইইইই টাইপের মৃদু শব্দ করে। দোকানদার বলেছে এই শব্দে ঘরে মশা থাকতে পারে না। সবার কৃছ এ জিনিস এক হাজার টাকায় বিক্রি করলেও মনির সাহেবকে বড় ভাইয়ের মতাে মনে হওয়ায় তাকে৯০০ টাকায় দিয়েছেন।


এরকম সম্মানে বেজায় খুশি মনির সাহেব। মাত্র ৯০০ টাকায় ২-৩ বছর মশার হাত থেকে নিশ্চিত। সে যন্ত্র রাতে কারেন্টে লাগানাের পর মশা তাে যায়ইনি উল্টো তীব্র পি পি শব্দে মাথা ধরে সারারাত ঘুমাতে পারেননি দুজনই। পরের দিন বউয়ের রাগারাগিতে যন্ত্র ফেরত দিতে দোকানে গেলে


দোকানদার বলেছেন তিনি মনির সাহেবকে চিনেনই না।কোনাে দিন দেখেনওনি। এ যন্ত্র তার দোকানের না। যন্ত্র ফেরত নেয়নি তার জন্য মনির সাহেব কষ্ট পাননি। কষ্ট পেয়েছেন আগের দিন একটা প্রােডাক্ট বিক্রির জন্য বড় ভাই ছােট ভাই সম্পর্ক বানিয়ে ফেলা দোকানদার আজ তাকে চিনতে অস্বীকার করে দিয়েছে এজন্য। একটা সম্পর্কের চেয়ে মাত্র কয়েকটা টাকা বড় হয়ে গেল!!


স্ত্রীর কথা মনে হতেই মনির সাহেব তাড়াতাড়ি ব্য্ত হয়ে উঠলেন ম্যাজিক লাইট খুলে লুকিয়ে ফেলার জন্য। স্ত্রীকে টেকনােলজি দিয়ে সারপ্রাইজ দেওয়ার চেষ্টাটা এবারও ব্যর্থ হয়েছে। এখন খালি খালি বউকে রাগিয়ে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।


পােকামাকড়গুলাে এখনও প্রবল আগ্রহে লাইটকে কেন্দ্র করে ঘুরে যাচ্ছে। মনির সাহেব ম্যাজিক লাইট বন্ধ করে দিলেন। পােকামাকড়ের টেকনােলজির ব্যাপারে এত আগ্রহ থাকা ভালাে নয়। তাদের আক্রই থাকবে ময়লা-আবর্জনা নিয়ে। টেকনােলজি নিয়ে আগ্রহ দেখানাের জন্য তার মতাে অনেক বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ রয়েছে।


দুই


সকাল সকাল খাবার টেবিলে একমাত্র ছেলে রাশেদের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে আছেন মনির সাহেব। এই ছেলে নিয়ে তিনি খুবই হতাশ। রাশেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে অনার্স করছে। এত ব্রিলিয়ান্ট ছেলে যে সায়েন্স ছেড়ে বাংলার পিছনে পড়বে এটা তিনি কখনোই কল্পনা করেননি। পৃথিবী বিজ্ঞানের রথে চেপে হু হুকরে এগিয়ে যাচেছে আর আছে ভেবেই খাওয়ার ইচ্ছে নষ্ট হয়ে গেছে মনির সাহেবের।


কিরে আজকাল কবিতা লিখছিস নাকি শুনলাম।


হ্যা বাবা, এই একটু আধটু চেষ্টা করতেছি। মৃদু হেসে উত্তর দিল রাশেদ । ঘটনা এখন কোন দিকে মোড়

নেবে তা রাশেদ আগে থেকেই জানে । এটা নতুন কিছু নয়।


-তা বই বের হচ্ছে নাকি সামনের বই মেলায় কোন? বিশ্বকবি রাশেদুর রয়ের অমর কবিতা।


প্রথম খোচাটা হজম করে নিল রাশেদ ।


না বাবা, বই মেলায় বের হওয়ার মতো লিখালেখির হাত এখনও হয়নি। তবে ইচ্ছা আছে বই বের করার।


চুল কাটার খরচটা এখন থেকে আর দেওয়ার দরকার হবে না মনে হচ্ছে। চুল বড় করতে শুরু কর।


কখনও দেখেছিস কবি মানুষ আর্মি ছাট দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে? কবিতা শুধু লিখলেই কৰি হয়ে যায় না। নিজের ভিতর কবিকে ধারণ করতে হয়।


এবার ঠান্ডা মাথার রাশেদও মনে মনে কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলো।


বাবার ছোটবেলা থেকেী আগহ ছিল সায়েন্স নিয়ে পড়ার । কিন্তু দাদুর ইচ্ছা ছিল তার ছেলে ব্যাংকার হবে তাই বাধ্য হয়েই বাবাকে সায়ে্ ছাড়তে হয়েছিল। শুধু দাদুর একটু খামখেয়ালিপনার জন্য দেশ একজন আইনস্টাইন হারালো বাবার এমন ধারণা থাকলেও সায়েন্সের দৌড় যে বাবার বেশি দূর এগোত না সেটা দাদু খুবই ভালো করে বুঝতে পেরেছিলেন ।


মাত্র তিন মাস বিজ্ঞান বই নিয়ে নাড়াচাড়া করেই তিনি নাকি নিউটনের মহাকর্ষসূত্রের ভুল ধরে ফেলেছিলেন এবং এমন ভুলভাল থিয়োরি দেওয়া লোক বিজ্ঞানী কীভাবে হলো সেটা নিয়ে কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রফেসর বাবার সঙ্গে অল্প বিস্তর আলাপ জমানোরও চেষ্টা করেছিলেন; যার ফলস্বরূপ আজ তিনি ব্যাংকার ।


তুমি কি ছেলেটাকে একটু শান্তিতে খেতেও দিবা না? ওর বয়সি ছেলে মদ-গাজা খেয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আর ও কবিতা লিখছে- এটা নিয়েও তোমার এত আপত্তি!!


রাহেলা খাতুন যে রান্নাঘর থেকে চলে এসেছেন সেটা খেয়াল করেননি মনির সাহেব। কিছুটা চুপসে গেলেন তিনি। এই একটা মানুষ যাকে তিনি ভয় পান।


না না আপত্তি থাকবে কেন!! দেখছিলাম পরীক্ষা করে ছেলের মনোবল কেমন। এই সময়ে কবিদের অনেক স্ট্রেসের ভেতর দিয়ে,যেতে হয়, সমাজের নানা রকম কথা শুনতে হয়- তই শৈষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দিবে কিনা এটাই পরীক্ষা করছিলাম৷ বিজ্ঞান বলে সব কিছু আগে যাচাই করে পরীক্ষা করে এরপর বিশ্বাস করতে ।


যাচাই-বাছাই সব খালি ছেলের বেলাতেই? লাইট কিনে এনে যে খাটের নিচে লুকিয়ে রেখেছো সেটাতো। খাটের নিচে যেহেতু পাওয়া গেছে তার মানে বোঝাই যাচ্ছে আবার কেউ ঠকিয়েছে তোমাকে ।


ইয়ে মানে এত সকাল সকাল খাটের তলায় কি করছিলে তুমি!! এত ভিতর থেকে তো পাওয়ার কথা না জিনিসটা..............


You can Monir Saheber Telesmati Kando pdf download here.


আরো পড়ুনঃ 


কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন...
সরাসরি লিংক click here.


নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Monir Saheber Telesmati Kando pdf ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন